পোস্টগুলি

মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন

ছবি
                    #প্রথম অধ্যায়#              (ইতিহাসের ধারণা) MARKS-2 1.    নতুন সামাজিক ইতিহাস কি? 2.    স্থানীয় ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি? 3.    স্থানীয় ইতিহাস বলতে কি বোঝো? 4.    নিম্নবর্গের ইতিহাস বলতে কি বোঝো? 5.    নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব নির্ণয় করা? 6.    ফটোগ্রাফ কিভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হয়ে উঠেছে? 7.    সংবাদপত্র হিসাবের সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা কর? 8.    ইতিহাসচর্চা বা হিস্টোরিওগ্রাফি বলতে কী বোঝো? 9.    খেলার ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব আলোচনা কর? 10. অ্যানাল স্কুল কি? 11. মানুষের পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস কেন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে? 12. যানবাহনের ইতিহাস আলোচনার বিষয় হয়েছে কেন? 13. শহরের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব আলোচনা করো? 14. বটতলা সাহিত্য বলতে কী বোঝো? 15. সামরিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি? 16. পরিবেশের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি? 17. শিল্প চর্চার ইতিহাসে নৃত্যের ভূমিকা লেখ? 18. শিল্প চর্চার ইতিহাসে নাটকের ভূমিকা লেখ? 19. শিল্প চর্চার ইতিহাসে চলচ্চিত্রের ভূমিকা লেখ? 20. স্থাপত্যের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন? 21. জহরলাল নেহেরু তার কন্যা ইন্

বক্সারের যুদ্ধের কারণ

ছবি
  বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল ভুমিকাঃ- বক্সারের যুদ্ধ হয়েছিল ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে। এই যুদ্ধ হয়েছিল বাংলার নবাব মির কাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজা উদ-দৌলা ও মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া। কোম্পানি পূর্ববর্তী নবাব মির জাফরকে সরিয়ে মির কাশিমকে বাংলার সিংহাসনে বসায়। কিন্তু সিংহাসনে আরোহণের পর মির কাশিম স্বাধীনভাবে রাজত্ব চালনা করতে চাইলে ইংরেজদের সঙ্গে তার বিরোধ বাধে।  বিরোধের প্রধান কারণ:  1)মুঙ্গেরে রাজধানী স্থানান্তরঃ - সিংহাসনে আরোহণের পর মির কাশিম স্বাধীনভাবে রাজত্ব করার জন্য রাজধানী স্থানান্তরিত করেন মুঙ্গেরে। বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ ছিল ইংরেজ প্রভাবিত। তাই তিনি রাজধানী স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছিলেন। (2)বৈধ ফরমান লাভঃ - মির কাশিম ইংরেজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে অবৈধভাবে বাংলার সিংহাসন লাভ করেন। তিনি নিজেকে বৈধ নবাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা রাজস্ব প্রদানের অঙ্গীকার করে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের ফরমান নিয়েছিলেন। এই ব্যবস্থা ইংরেজরা মেনে নিতে পারেনি। 3)ইউরোপীয় রণকৌশল গ্রহণঃ - নবাব মির

ব্রাম্ভ আন্দোলন

ছবি
ভূমিকা: উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতের ধর্ম ও সমাজসংস্কার আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিল ব্রাহ্রসমাজ। ব্রাহ্রসমাজ একেশ্বরবাদের কথা প্রচার করে। রাজা রামমোহন রায়ের উদ্যোগে ব্রাহ্রসমাজ গঠিত হয়; কিন্তু পরবর্তীকালে এর বিবর্তন ও বিভাজন ঘটে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে আদি ব্ৰাহ্মসমাজ, কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে ‘ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্বসমাজ’,নববিধান ব্রাহ্রসমাজ’ এবং শিবনাথশাস্ত্রী ও আনন্দমোহন বসুর নেতৃত্বে সাধারণ ব্রাহ্রসমাজ গড়ে ওঠে। ব্রাক্মসমাজ প্রতিষ্ঠা:- রাজা রামমোহন রায় উপনিষদের একেশ্বরবাদী তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে 1828 খ্রিস্টাব্দে ব্রাত্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরবর্তীকালে(1830 খ্রিস্টাব্দে ) ব্রাহ্রসমাজ নামে পরিচিত হয়।   প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : রাজা রামমোহন রায়ের ব্রাম্মসমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল— a. এক ও অদ্বিতীয় ব্রত্মের উপাসনা করা। b. খ্রিস্টান মিশনারিদের আক্রমণের হাত থেকে হিন্দুধর্মকে রক্ষা করা। c. বাংলায় বৈদান্তিক হিন্দুধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। d. হিন্দুধর্মের নামে যেসব কুসংস্কার ও অন্যায়-অবিচার প্রচলিত আছে তার উচ্ছেদ করা। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর:: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ব

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ( তৃতীয় অধ্যায়)

ছবি
  অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর::  ১ নম্বরের জন্য  ১) ব্রিটিশ ভারতে মোট কতগুলি অরণ্য আইন পাশ হয়েছিল? 👉 তিনটি-1865, 1878 ও 1927 খ্রিস্টাব্দে। ২) ভারতে কবে প্রথম অরণ্য আইন পাশ হয়? 👉 1865 খ্রিস্টাব্দে। ৩)1878 খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইনে অরণ্যকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছিল? 👉 তিন ভাগে (সংরক্ষিত অরণ্য, সুরক্ষিত অরণ্য, গ্রামীণ অরণ্য)। ৫)কবে কার নেতৃত্বে প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল? 👉 1768,-69 খ্রিস্টাব্দে ধলভূমের রাজা জগন্নাথ সিংহের নেতৃত্বে। ৬) 1798-99 খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিতীয় পর্যায়ে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? 👉 দুর্জন সিংহ, অচল সিংহ, মাধব সিংহ প্রমুখ। ৭) মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ধলভূমের স্থানীয় জমিদারদের অধীনে রক্ষী বাহিনীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহকারী চুয়াড়দের কি বলা হতো? 👉পাইক। ৮)জঙ্গলমহল জেলা কবে গঠিত হয়? 👉1800 খ্রিস্টাব্দে। ৯)কোন কোন অঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল জেলা গঠিত হয়েছিল? 👉 মেদিনীপুর, বাঁকুড়া,মানভূম বীরভূম প্রভৃতি। ১০)) গোবর্ধন দিকপতি কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন? 👉 চুয়াড় বিদ্রোহের। ১১)) চুয়াড় শব্দের অর্থ কি? 👉 দুর্বৃত্ত ও নীচজাতি। ১২)মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ

বাংলার সম্পূর্ণ ইতিহাস

ছবি
  👉বাংলা নামের ইতিহাস:: 'বাংলা' শব্দের প্রকৃত অর্থ জানা না গেলেও ধারনা করা হয় যে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীয় ভাষা থেকে "বঙ" বা "বঙ্গ" শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। অন্য মতাবলম্বীরা ধারণা করেন যে বাংলা শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার 'বোঙ্গা' শব্দটি থেকে এসেছে যার অর্থ সূর্য-দেবতা। মহাভারত ও পুরাণ অনুসারে বঙ্গ শব্দটি এসেছে পৌরাণিক রাজা বলির পুত্রের নামানুসারে যিনি বঙ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্কৃত ভাষার বিবিধ গ্রন্থাদিতে বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। আবার কিছু অংশ উপবঙ্গ রূপেও পরিচিত ছিল। 'বাঙ্গালা' শব্দ থেকে বাংলা শব্দের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে কারণ মধ্যযুগে এ অঞ্চল বুঝানোর জন্য শব্দটি ব্যবহার করা হতো। বাংলার সুলতানদের বাঙ্গালার শাহ বলে ডাকা হ্তো। মুঘলরা তাদের বাংলা প্রদেশকে সুবাহ-ই-বাংলা বলে উল্লেখ করত । বাংলার প্রাচীন ইতিহাস: ২০০০০ বছর পূর্বের প্রস্তর যুগের  এবং প্রায় চার হাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং