পোস্টগুলি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ( তৃতীয় অধ্যায়)

ছবি
  অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর::  ১ নম্বরের জন্য  ১) ব্রিটিশ ভারতে মোট কতগুলি অরণ্য আইন পাশ হয়েছিল? 👉 তিনটি-1865, 1878 ও 1927 খ্রিস্টাব্দে। ২) ভারতে কবে প্রথম অরণ্য আইন পাশ হয়? 👉 1865 খ্রিস্টাব্দে। ৩)1878 খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইনে অরণ্যকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছিল? 👉 তিন ভাগে (সংরক্ষিত অরণ্য, সুরক্ষিত অরণ্য, গ্রামীণ অরণ্য)। ৫)কবে কার নেতৃত্বে প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল? 👉 1768,-69 খ্রিস্টাব্দে ধলভূমের রাজা জগন্নাথ সিংহের নেতৃত্বে। ৬) 1798-99 খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিতীয় পর্যায়ে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? 👉 দুর্জন সিংহ, অচল সিংহ, মাধব সিংহ প্রমুখ। ৭) মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ধলভূমের স্থানীয় জমিদারদের অধীনে রক্ষী বাহিনীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহকারী চুয়াড়দের কি বলা হতো? 👉পাইক। ৮)জঙ্গলমহল জেলা কবে গঠিত হয়? 👉1800 খ্রিস্টাব্দে। ৯)কোন কোন অঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল জেলা গঠিত হয়েছিল? 👉 মেদিনীপুর, বাঁকুড়া,মানভূম বীরভূম প্রভৃতি। ১০)) গোবর্ধন দিকপতি কোন বিদ্রোহের নেতা ছিলেন? 👉 চুয়াড় বিদ্রোহের। ১১)) চুয়াড় শব্দের অর্থ কি? 👉 দুর্বৃত্ত ও নীচজাতি। ১২)মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ

বাংলার সম্পূর্ণ ইতিহাস

ছবি
  👉বাংলা নামের ইতিহাস:: 'বাংলা' শব্দের প্রকৃত অর্থ জানা না গেলেও ধারনা করা হয় যে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীয় ভাষা থেকে "বঙ" বা "বঙ্গ" শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। অন্য মতাবলম্বীরা ধারণা করেন যে বাংলা শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার 'বোঙ্গা' শব্দটি থেকে এসেছে যার অর্থ সূর্য-দেবতা। মহাভারত ও পুরাণ অনুসারে বঙ্গ শব্দটি এসেছে পৌরাণিক রাজা বলির পুত্রের নামানুসারে যিনি বঙ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্কৃত ভাষার বিবিধ গ্রন্থাদিতে বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। আবার কিছু অংশ উপবঙ্গ রূপেও পরিচিত ছিল। 'বাঙ্গালা' শব্দ থেকে বাংলা শব্দের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে কারণ মধ্যযুগে এ অঞ্চল বুঝানোর জন্য শব্দটি ব্যবহার করা হতো। বাংলার সুলতানদের বাঙ্গালার শাহ বলে ডাকা হ্তো। মুঘলরা তাদের বাংলা প্রদেশকে সুবাহ-ই-বাংলা বলে উল্লেখ করত । বাংলার প্রাচীন ইতিহাস: ২০০০০ বছর পূর্বের প্রস্তর যুগের  এবং প্রায় চার হাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং

গুপ্ত পরবর্তী যুগে ভারত

ছবি
👉গুপ্ত পরবর্তী ভারত (Decline of the Gupta Empire) গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির বিকাশ ঘটে । সুলতানি সাম্রাজ্যের আগে ভারতে আর কোনো শক্তিশালী সাম্রাজ্যের আবির্ভাব ঘটেনি ।  ৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয় । এই সময়ে হুনরা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত আক্রমণ করে এবং শেষ উল্লেখযোগ্য সম্রাট বুধগুপ্ত পরাজিত হয় ও তার মৃত্যু হয় এবং হুনরা শিয়ালকোট ও পূর্ব মালয় অধিকার করে । এদিকে কেন্দ্রীয় শক্তির দুর্বলতার ফলে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত বংশের রাজপুত্ররা স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে সুরা করেন । ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে মগধ গুপ্তদের হস্তচ্যুত হয় ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন সম্পূর্ণ হয় । এই অবস্থায় উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তির উদ্ভব ঘটে। >> আঞ্চলিক শক্তির আত্মপ্রকাশ- পশ্চিম ও উত্তর ভারত:: ►বলভীর মৈত্রিক বংশ [Maitrakas dynasty of Valbhi]: ভট্টারক পশ্চিম ভারতের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে বলভীর মৈত্রক বংশের প্রতিষ্ঠা করেন । এই বংশের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য শাসক হলেন প্রথম শিলাদিত্য, দ্বিতীয় ধ্রুবসেন ও চতুর্থ ধ্রুবসেন ।