দশম শ্রেণীর ইতিহাস: দ্বিতীয় অধ্যায়




দ্বিতীয় অধ্যায়:সংস্কার, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা**

প্রশ্নমান : 1

1.ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসকের নাম কী?

Ans: কাদম্বিনী গাঙ্গুলি

2.” শব্দকল্পদ্রুম ” নামক সংস্কৃত অভিধানের রচয়িতা কে?

Ans: রাধাকান্ত দেব

3.রামমোহন কবে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: 1825 খ্রিস্টাব্দে

4.বাংলার কোন শতককে ” নবজাগরণের শতক ” বলা হয়?

Ans: ঊনবিংশ শতককে

5.শ্রীরামপুর ত্রয়ী নামে করা পরিচিত ছিলেন?

Ans: উইলিয়াম কেরি, জোসুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ডকে

6. “গ্রামবাবার্ত্তাপ্রকাশিকা ” পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

Ans: হরিনাথ মজুমদার

7.কোন বড়লাটের আমলে বিধবাবিবাহ আইন পাস হয়?

Ans: লর্ড ক্যানিং

8.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য বা ভাইস চ্যান্সেলর কে ছিলেন?

Ans: স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিন

9.ব্রাহ্মসমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

10.কে কত খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?

Ans: স্যার উইলিয়াম জোন্স 1784 খ্রিস্টাব্দে

11.” মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন ” এর প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

Ans: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

12.মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন – এর বর্তমান নাম কী?

Ans: বিদ্যাসাগর কলেজ

13.বাংলার প্রথম ” বিধবা পাত্রী ” কে ছিলেন?

Ans: কালীমতি দেবী

14.” প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ” কাকে বলা হত?

Ans: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে

15. ” ফকির অব জাংঘিরা ” কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?

Ans: ডিরোজিও

15.কাকে ” ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গুরু ” বলা হয়?

Ans: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

16.হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী?

Ans: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

17.ভারতের ইরাসমাস কাকে বলা হয়?

Ans: রাজা রামমোহন রায়

18.হান্টার কমিশন কবে ঘোষিত হয়?

Ans: 1882 সালে

19.বাংলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ” গোলদিঘির গোলামখানা ” বলা হত?

Ans: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে

20.হিন্দুমেলার পূর্বনাম কী ছিল?

Ans: চৈত্রমেলা

21.কোন আইন দ্বারা বিধবাবিবাহ চালু হয়?


Ans: পঞ্চদশ রেগুলেশন ( 15 নং ) আইন দ্বারা


22.” আলালের ঘরের দুলাল ” কার লেখা?


Ans: প্যারিচাঁদ মিত্র ( ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর )


23.তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?


Ans: অক্ষয়কুমার দত্ত


24.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ছিলেন?


Ans: স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়


25.সাধারণ জনশিক্ষা কমিটি কবে গঠিত হয়?


Ans: 1823 সালে


26. “ব্রহ্মানন্দ” নামে কে পরিচিত ছিলেন?


Ans: কেশবচন্দ্র সেন


27.প্রথম বাঙালি সংবাদপত্র প্রকাশক কে ছিলেন?


Ans: গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য


28.পটলডাঙা অ্যাকাডেমির বর্তমান নাম কী?


Ans: হেয়ার স্কুল


29.ঊনবিংশ শতকে বাংলার নবজাগরণকে ” এলিটিস্ট আন্দোলন ” বলে কে অভিহিত করেছেন?


Ans: অনিল শীল


30.গৌরমোহন আঢ্য প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নাম কী?


Ans: ওরিয়েন্টাল সেমিনারি


31.লালনের জীবনী কে প্রথম রচনা করেন?


Ans: বসন্ত কুমার পাল


32.কেশবচন্দ্র সেনকে ” ব্রহ্মানন্দ ” উপাধি কে দেন?


Ans: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর


33.” হিন্দু প্যাট্রিয়ট ” পত্রিকাটি প্রকাশকালে কোন ধরনের পত্রিকা ছিল?


Ans: সাপ্তাহিক পত্রিকা


34.” সম্বাদ কৌমুদী ” – এর সম্পাদক কে ছিলেন?


Ans: রাজা রামমোহন রায়


35.বিশপ কলেজ কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?


Ans: শিবপুরে


36.প্রথম দৈনিক বাংলা সংবাদপত্র কোনটি?


Ans: সম্বাদ বা সংবাদ প্রভাকর


37.বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক কারা?


Ans: চন্দ্রমুখী বসু এবং কাদম্বিনী গাঙ্গুলি


38.” এনকোয়েরার ” নামক পত্রিকা কে প্রকাশ করেন?


Ans: কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জী


39.” নববিধান ” কে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: কেশবচন্দ্র সেন


40.তিন আইন কবে পাস হয়?


Ans: 1872 সালে


41.হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় বর্তমানে কী নামে পরিচিত?


Ans: বেথুন স্কুল


42.আদি ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা কে?


Ans: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর


43.সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ কারা গড়ে তোলেন?


Ans: শিবনাথ শাস্ত্রী ও আনন্দমোহন বসু


44.কোন আইন দ্বারা সতীদাহ প্রথার অবসান ঘটানো হয়?


Ans: সপ্তদশ রেগুলেশন ( 17 নং ) দ্বারা


45.স্কটিশচার্চ কলেজের পূর্বনাম কী ছিল?


Ans: জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইন্সটিটিউশন


46.নব্য বেদান্তের স্রষ্টা কে ছিলেন?


Ans: স্বামী বিবেকানন্দ


47.ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ কে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: কেশবচন্দ্র সেন


48.কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রেসিডেন্সি কলেজে উন্নীত হয়?


Ans: 1855 সালে


49.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য বা চ্যান্সেলর কে ছিলেন?


Ans: লর্ড ক্যানিং


50.ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ছাত্রসংঘঠন কোনটি?


Ans: অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন (1827 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় )


51. ” স্ত্রীশিক্ষা না হলে আমাদের পশুজন্ম ঘুচবে না ” – এই উক্তিটি কার?


Ans: স্বামী বিবেকানন্দ


52.” বিদ্যোৎসাহিনী সভা ” কে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: কালীপ্রসন্ন সিংহ


53.কে কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: ওয়ারেন হেস্টিংস 1781 খ্রিস্টাব্দে


54.” গোঁসাইজি ” নামে কে পরিচিত ছিলেন?


Ans: বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী


55.” ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমির পূর্বনাম কী ছিল?


Ans: অ্যাংলো – হিন্দু স্কুল


56.ব্রাহ্মসমাজের মুখপাত্র ছিল কোন পত্রিকা?


Ans: তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা


57.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম কোন মুসলিম ছাত্র ডাক্তারি পাস করেন?


Ans: রহিম খান


58.শ্রীরামপুর কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?


Ans: 1818 সালে


59.হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার প্রথম মালিক বা স্বত্বাধিকারী কে ছিলেন?


Ans: মধুসূদন রায়


60.ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কলেজের নাম কী?


Ans: বেথুন কলেজ


61.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক কারা?


Ans: যদুনাথ বোস ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


62.” ইন্ডিয়ান মিরর ” পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?


Ans: কেশবচন্দ্র সেন


63.হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি প্রথমে কোন ভাষায় প্রকাশিত হয়?


Ans: ইংরেজি


64.হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকাটি কবে থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত হয়?


Ans: 1856 সাল থেকে


65.কত খ্রিস্টাব্দে হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়?


Ans: 1892 সালে


66.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কবে প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করা হয়?


Ans: 1836 খ্রিস্টাব্দে


67.ব্রাহ্মসমাজ কবে দ্বিধাবিভক্ত হয়?


Ans: 1866 খ্রিস্টাব্দে ( আদি ও ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নামে )


68.কলকাতা সংস্কৃত কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?


Ans: 1824 সালে


69.” নব্যবঙ্গ ” কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?


Ans: ঈশ্বর গুপ্ত


70.বাংলায় কবে প্রথম বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়?


Ans: 1856 সালের 7 ডিসেম্বর


71.ভারতে প্রকাশিত প্রথম জাতীয় পত্রিকা কোনটি?


Ans: হিন্দু প্যাট্রিয়ট


72.সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদক কে ছিলেন?


Ans: ঈশ্বর গুপ্ত


73.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ছাত্রী কে?


Ans: কাদম্বিনী বসু (গাঙ্গুলি )


74.কার নামে আর জি কর হাসপাতালটির নামকরণ হয়েছে?


Ans: রাধাগোবিন্দ কর


75.এলবার্ট হলের বর্তমান নাম কী?


Ans: কফি হাউস


76.জাতীয় মেলা কবে স্থাপিত হয়?


Ans: 1867 খ্রিস্টাব্দে


77.বারাণসী সংস্কৃত কলেজ কে কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: জোনাথন ডানকান 1791 সালে


78.” বামাবোধিনী ” পত্রিকার প্রচার কবে বন্ধ হয়?


Ans: 1923 খ্রিস্টাব্দে


79.” বামাবোধিনী ” কোন ধরনের পত্রিকা ছিল?


Ans: মাসিক


80.সংগত সভা (1860খ্রি:) কে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: কেশবচন্দ্র সেন


81.” প্রাচ্যের সভ্যতা দুর্নীতিপূর্ণ ও অপবিত্র ” – উক্তিটি কার?


Ans: টমাস ব্যাবিংটন মেকলে


82.” স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ক ” গ্রন্থটি কে রচনা করেন?


Ans: গৌরমোহন আঢ্য


83.” স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক ” গ্রন্থটি কে রচনা করেন?


Ans: রাধাকান্ত দেব


84.অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন এর মুখপত্র ছিল কোন পত্রিকা?


Ans: এথেনিয়াম


85.” উচ্ছৃঙ্খল” বা ” কালাপাহাড় ” বলে কাদের অভিহিত করা হত?


Ans: নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীদের


86.এশিয়ার প্রথম ডি. লিট কে পান?


Ans: বেণীমাধব বড়ুয়া


87.” ভারতের প্রমিথিউস ” কে?


Ans: রাজা রামমোহন রায়


88.” ইন্ডিয়া টুডে ” কার লেখা?


Ans: ড. রজনীপাম দত্ত


89.” দ্য রেনেসাঁস ইন ইন্ডিয়া ” কার লেখা?


Ans: সি. এফ. অ্যান্ড্রুজ


90.” গ্রামীণ সাংবাদিকতার জনক ” কাকে বলা হয়?


Ans: হরিনাথ মজুমদারকে


91.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিল্ডিং তৈরির জন্য কে জমি দান করেন?


Ans: মতিলাল শীল


92.ডেভিড হেয়ার কোথাকার লোক ছিলেন?


Ans: স্কটল্যান্ডের লোক ছিলেন


93.বাংলায় কে, কবে প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করেন?


Ans: মধুসূদন গুপ্ত 1836 সালে


94.প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদীদের দ্বন্দ্বের অপর নাম কী?


Ans: ইভানজেলিক্যাল আন্দোলন


95.কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?


Ans: মন্টফোর্ড ব্রামলি


96.কীসের দ্বারা প্রাচ্য – পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে?


Ans: 1839 সালে অকল্যান্ড মিনিটের দ্বারা


97.” নিউ হুগলি কলেজ ” এর বর্তমান নাম কী?


Ans: হুগলি মহসীন কলেজ


98.” অবজারভেশন ” কার লেখা?


Ans: চার্লস গ্রান্ট


99.কোন সময়কালকে ডাফের যুগ বলা হয়?


Ans: 1830 – 1857 খ্রিস্টাব্দ


100.কার সঙ্গে কেশবচন্দ্রের কন্যা সুনীতির বিবাহ হয়?


Ans: কোচবিহারের রাজকুমারের সঙ্গে



101. ” বিশ্বপথিক ” কাকে বলা হয়?


Ans: রাজা রামমোহন রায়


102.” প্রাচ্যের সভ্যতা দুর্নীতিপূর্ণ ও অপবিত্র ” – উক্তিটি কার?


Ans: টমাস ব্যাবিংটন মেকলে


103.ভারতের প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোথায় স্থাপিত হয়?


Ans: রুরকিতে


104.” আত্মীয়সভা ” কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans: রাজা রামমোহন রায় 1815 খ্রিস্টাব্দে


105.ব্রাহ্মসভা কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?


Ans::রাজা রামমোহন রায় 1828 খ্রিস্টাব্দে


106.কত খ্রিস্টাব্দে GCPI প্রতিষ্ঠিত হয়?


Ans: 1823 খ্রিস্টাব্দে


107.GCPI – এর সম্পূর্ণ নাম কী?


Ans: জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটি|


108.ব্রাহ্মসভার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?


Ans: তারাচাঁদ চক্রবর্তী


109.কত খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়?


Ans: 1897 সালে


110.কাকে ভারতের ” ট্রাডিশনাল মর্ডানাইজার ” বলা হয়?


Ans: বিদ্যাসাগর


111.ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের (1851খ্রি:) প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?


Ans: রাধাকান্ত দেব


112.ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী কবি কাকে বলা হয়?


Ans: ডিরোজিওকে


113.নব্য বৈষ্ণবধর্মের প্রবক্তা কে ছিলেন?


Ans: বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী


114.” নববিধান ব্রাহ্মসমাজ ” কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?


Ans: 1880 খ্রিস্টাব্দে


115.বাংলার নবজাগরণকে কে, ” তথাকথিত নবজাগরণ ” বলেছেন?


Ans: অশোক মিত্র


***সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো***


1.”গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা ” ছিল একটি গ্রামীণ সংবাদপত্র |


Ans: সত্য


2.স্ত্রী – জাতির উন্নতিকল্পেই প্রকাশিত হয় ” বামাবোধিনী ” পত্রিকা |


Ans: সত্য


3.ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন চন্দ্রমুখী বসু |


Ans: মিথ্যা (সঠিক উত্তর – কাদম্বিনী গাঙ্গুলি )


4.টমাস ব্যাবিংটন মেকলের সুপারিশে ভারতে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন হয় |


Ans: সত্য


5.কেশবচন্দ্র সেনের কন্যা ছিলেন সুনীতি দেবী |


Ans: সত্য


6.” জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন ” প্রতিষ্ঠা করেন ডেভিড হেয়ার |


Ans: মিথ্যা ( সঠিক উত্তর – আলেকজান্ডার ডাফ)


7.ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার পথিকৃৎ ছিল ” ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ” |


Ans: মিথ্যা (সঠিক উত্তর – প্রাচ্য শিক্ষার )


8.ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় 1904 খ্রিস্টাব্দে |


Ans: সত্য


9.তিন আইন পাস হয় 1870 খ্রিস্টাব্দে |


Ans: মিথ্যা (সঠিক উত্তর – 1872 সালে )


10.রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী বিবেকানন্দ |


Ans: সত্য


11.হিন্দু কলেজ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত |


Ans: সত্য


12.বাংলার নবজাগরণের প্রাণকেন্দ্র ছিল কলকাতা |


Ans: সত্য


13.শিবনাথ শাস্ত্রী নববিধান সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন |


Ans: মিথ্যা (সঠিক উত্তর – কেশবচন্দ্র সেন )


14.দিগদর্শন বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িক পত্রিকা |


Ans: সত্য


15.প্রাচ্যবাদীদের বলা হয় ওরিয়েন্টালিস্ট |


Ans: সত্য


16.নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন জেমস লঙ |


Ans: মিথ্যা (সঠিক উত্তর – মাইকেল মধুসূদন দত্ত )


17.হুগলির ইমামবাড়া স্থাপিত হয় 1840 খ্রিস্টাব্দে |


Ans: মিথ্যা (সঠিক উত্তর – 1841 সালে )


18. 1824 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা সংস্কৃত কলেজ স্থাপিত হয় |


Ans: সত্য


19.স্কটিশ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আলেকজান্ডার ডাফ |


Ans: সত্য


20.বেথুন স্কুলের জন্য জমি দান করেছিলেন দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় |


Ans: সত্য


**নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো**


1.বিবৃতি: প্রাচ্য শিক্ষা ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব ভারতে ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারের প্রেক্ষাপট রচনা করে |


ব্যাখ্যা – 1: পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থক বেশি ছিল |


ব্যাখ্যা – 2: প্রাচ্য শিক্ষার কার্যকারিতা হ্রাস পায় |


ব্যাখ্যা – 3: প্রাচ্য শিক্ষা নয় পাশ্চাত্য শিক্ষা বা ইংরেজি শিক্ষার পক্ষে মত গৃহীত হয় |


Ans: ব্যাখ্যা – 3: প্রাচ্য শিক্ষা নয় পাশ্চাত্য শিক্ষা বা ইংরেজি শিক্ষার পক্ষে মত গৃহীত হয় |


2.বিবৃতি: “গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা” ছিল একটি বিখ্যাত পত্রিকা |


ব্যাখ্যা – 1: এই পত্রিকা নীলবিদ্রোহকে সমর্থন করে প্রকাশিত হয় |


ব্যাখ্যা – 2: সম্পাদক হরিনাথ ছিলেন একজন জনপ্রিয় সম্পাদক |


ব্যাখ্যা – 3: এর পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি |


Ans: ব্যাখ্যা – 3: এর পূর্ববর্তী কোনো সংবাদপত্রে গ্রামের কথা বলা হয়নি |


3.বিবৃতি: হিন্দু প্যাট্রিয়ট ছিল একটি জাতীয়তাবাদী পত্রিকা|


ব্যাখ্যা – 1: এটি ছিল একটি প্রতিবাদী পত্রিকা |


ব্যাখ্যা – 2: ইংরেজদের বিরুদ্ধে নীলচাষ নিয়ে প্রথম দৃঢ় প্রতিবাদ এই পত্রিকায় করা হয় |


ব্যাখ্যা – 3: উনিশ শতক ছিল পত্রিকার প্রকাশ কাল|


Ans: ব্যাখ্যা – 2: ইংরেজদের বিরুদ্ধে নীলচাষ নিয়ে প্রথম দৃঢ় প্রতিবাদ এই পত্রিকায় করা হয় |


4.বিবৃতি: 1835 সালে ঘোষিত হয় মেকলে মিনিট |


ব্যাখ্যা – 1: এই প্রস্তাব দ্বারা ভারতে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পায় |


ব্যাখ্যা – 2: এই প্রস্তাব দ্বারা ভারতে প্রাচ্য শিক্ষার দ্বার প্রশস্ত হয় |


ব্যাখ্যা – 3: এই প্রস্তাব দ্বারা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার দরজা খুলে যায় |


Ans: ব্যাখ্যা – 3: এই প্রস্তাব দ্বারা ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার দরজা খুলে যায় |


  ** বামস্তম্ভের সঙ্গে ডানস্তম্ভ মেলাও 

1.)


    বামস্তম্ভ                               ডানস্তম্ভ

_______________    _______________

a.ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ     1.1830 খ্রিস্টাব্দ


b.হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা             2.1818 খ্রিস্টাব্দ


c.জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ     3.1817 খ্রিস্টাব্দ


   ইন্সটিটিউশন


d.হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা           4.1800 খ্রিস্টাব্দ


Ans: a——(4),b——-(2),c——–(1), d——–(3).


2.)


       বামস্তম্ভ                               ডানস্তম্ভ

____________   _____________________

a.উমেশচন্দ্র দত্ত                       1.সোমপ্রকাশ


b.স্বর্ণকুমারী দেবী                    2.প্রবাসী


c.রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়            3.ভারতী


d.দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ          4.বামাবোধিনী


Ans: a—–(4), b——(3), c——(2), d——–(1).


3.)


         বামস্তম্ভ                          ডানস্তম্ভ

_____________   ___________________

a.ব্রাহ্মসভা                         1.কেশবচন্দ্র সেন


b.তত্ত্ববোধিনী সভা             2.রামমোহন রায়


c.সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ        3.দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর


d.নববিধান ব্রাহ্মসমাজ     4.শিবনাথ শাস্ত্রী


Ans: a——(2), b——-(3), c——(4), d——(1).


4.)


   বামস্তম্ভ                                ডানস্তম্ভ

___________‌    _____________________

a.প্রাচ্যবাদী                       1.হেনরি ড্রামন্ড


b.শেরবোর্ন                       2.জোড়াসাঁকোয় ইংরেজি স্কুল


c.ধর্মতলা একাডেমি         3.আলেকজান্ডার ডাফ


d.পাশ্চাত্যবাদী                 4.মেকলে


Ans: a——(3), b——(2), c——-(1), d——–(4)


      # ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর #


1.    কে কবে কেন এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

স্যার উইলিয়াম জোন্স 1784 খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলিয়াম জোন্স  প্রাচ্য ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রাচ্য বিষয়ের গবেষণা করার জন্য কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

2.    সতীদাহ প্রথা কে কবে নিষিদ্ধ করেন?

গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক 1829 খ্রীষ্টাব্দে সপ্তাদশ বিধি দ্বারা আইন করে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন।

3.    উডের ডেসপ্যাচ কি?

1854 খ্রীষ্টাব্দে বোর্ড অফ কান্ট্রলের সভাপতি চার্লস উড ভারতের ভবিষ্যৎ শিক্ষা কাঠামো গঠনের উদ্দেশ্যে যে পরিকল্পনা পেশ করেন তা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত।

নির্দেশনামা বা ডেসপ্যাচঃ

a.   i)প্রতিটি প্রেসিডেন্সিতে (কলকাতা,বোম্বাই ও মাদ্রাজ) একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত।

b.   ii) প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়া হবে।

c.   iii)নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এ নির্দেশনামাকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে মহাসনদ বা ম্যাগনাকার্টা বলা হয় এর ফলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

4.    শ্রীরামপুর ত্রয়ী কাদের বলা হয়?

হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন খ্রিস্টধর্ম প্রচার ও শিক্ষাবিস্তারের কাজ শুরু করে। শ্রীরামপুর এয়ী উইলিয়ম কেরি, ফ্রাসোয়া মার্শম্যান ও উইলিয়ম ওয়ার্ড— এই তিনজন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। এঁদের একত্রে বলা হয় শ্রীরামপুর ত্রয়ী।

অবদান : এঁরা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা, “দিগদর্শন’ ও ‘সমাচার দর্পণ পত্রিকা প্রকাশ, 26টি আঞ্চলিক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

5.    চুঁইয়ে পড়া নীতি কী?

পাশ্চাত্য শিল্পবিস্তারের সূচনায় ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বাংলার উচ্চ ও মধ্যবিত্তশ্রেণির | মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটানো হলে ওই উচ্চশিক্ষিত লোকেরা সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার বিস্তার ঘটাবে। ফিলটারের জল যেমন উপর থেকে পরিত হয়ে চুইয়ে নীচে নামে, তেমনই সমাজের উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তরে শিক্ষাবিস্তারের এই নীতিকেই চুইয়ে পড়া নীতি বা ‘Filtration Theory’ বলা হয়ে থাকে।

6.     ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ছিল?     

সমাজ সংস্কারে নব্যবঙ্গদের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

i)       এই গোষ্ঠী হিন্দুধর্মের পৌত্তলিকতা অস্পৃশ্যতা জাতিভেদ, সতীদাহ প্রভৃতি কুপ্রথার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।

ii)       তাদের উদ্যোগে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে, নারীশিক্ষা বিস্তারের পথ প্রশস্ত হয়।

iii)      জুরির মাধ্যমে বিচার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠী সোচ্চার হয়।

iv)      ভারতবাসীর মধ্যে যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী মানসিকতা সৃষ্টিতে ও র‍্যাডিক্যাল চিন্তাভাবনার প্রসারে এই দলের  গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

7.    1813 সালের সনদ আইন এর দুটি গুরুত্ব আলোচনা করো?

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া 1813 খ্রিস্টাব্দের সনদ আইন ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

গুরুত্বঃ-

অর্থ বরাদ্দ : এই সনদ আইনে প্রথম ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য বার্ষিক 1 লক্ষ টাকা ব্যয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।

কোম্পানীর একচেটিয়া বানিজ্যের অবসানঃ- এই আইন দ্বারা ভারতের কোম্পানির এক চেটিয়া বানিজ্যের অবসান হয়।

8.    নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হত?

হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও তৎকালীন সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। তাদের আন্দোলন নব্যবঙ্গ আন্দোলন’ নামে পরিচিত এবং ডিরোজিওর অনুগামীদের নব্যবঙ্গ’ বা ‘ইয়ং বেঙ্গল’ বলা হত।  নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য হলেন রামতনু লাহিড়ী, রাধানাথ শিকদার, রসিককৃষ্ণ মল্লিক প্রমুখ।

9.    নব্য বঙ্গ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক ডিরোজিওকে কেন্দ্র করে যে অনুগত ছাত্রগোষ্ঠী গড়ে ওঠে, তারা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী নামে পরিচিত।

ব্যর্থতার কারণ :-

i)       আন্দোলনকারীদের গঠনমূলক কর্মসূচি ছিল না এবং আন্দোলনকারীদের চিন্তাধারা ছিল নেতিবাচক।

ii)       তাদের আন্দোলনের পিছনে জনসমর্থন ছিল না।

iii)      কৃষক-শ্রমিক ও মুসলিমদের নিয়ে তারা ভাবেননি।

iv)      ডিরোজিওর মৃত্যুর পর নেতৃত্বের অভাব ঘটে।

10.   মধুসূদন গুপ্ত বিখ্যাত কেন?

ভারতের আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে মধুসূদন গুপ্ত একটি স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। মধুসূদন গুপ্ত 1800 খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটীতে জন্মগ্রহণ করেন।

অবদান : তৎকালীন পরিস্থিতিতে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে তথা সমাজে পতিত হওয়ার ভয়ে কোনও ছাত্র শবব্যবচ্ছেদে এগিয়ে আসতেন না। কিন্তু 1836 খ্রিস্টাব্দের 28শে অক্টোবর রাজকৃষ্ণু দে, উমাচরণ শেঠ-সহ আরও কয়েকজনের সহায়তায় মধুসূদন গুপ্ত প্রথম শবব্যবচ্ছেদ করেন।এই জন্য তিনি আজও ভারতের চিকিৎসা জগতের ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে আছেন।

11.  ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?

লর্ড ওয়েলেসলি কেন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

লর্ড ওয়েলেসলি 1800 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

উদ্দেশ্য : তার উদ্দেশ্য ছিল— ভারতে চাকুরি করতে আসা ইউরোপীয়দের ভালো করে প্রশিক্ষণ দেওয়া। এর জন্য তিনি তাদের ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে চেয়েছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

12.  জনশিক্ষা কমিটি কেন গঠিত হয়?

1823 খ্রিস্টাব্দে ‘জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ বা জনশিক্ষা কমিটি গঠিত হয়। জনশিক্ষা কমিটি উদ্দেশ্য:- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি-শাসিত তৎকালীন ভারতে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ করা। শিক্ষার প্রসার ও গুণগত মানোন্নয়নের জন্য কী কী করা উচিত সে বিষয়ে সুপারিশ করা।

13.  তিন আইন কী?

ব্রাহ্ম সমাজের নেতৃত্ববৃন্দের আন্দোলনের ফলে বিশেষ করে কেশবচন্দ্রের উদ্যোগে 1872 সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ , বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে

14.  ‘প্রাচ্যবাদী’ (Orientalist) ও পাশ্চাত্যবাদী (Anolicist) কাদের বলা হয়?

1813 খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট বা সনদ আইনে বলা হয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য বছরে 1 লক্ষ টাকা ব্যয় করবে। এই অর্থ কোন্ শিক্ষাখাতে ব্যয় হবে তা  নিয়ে জনশিক্ষা কমিটির সদস্যরা দু-ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল—প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী।

প্রাচ্যবাদী : এইচ টি প্রিন্সেপ, কোলব্রুক প্রমুখ যাঁরা প্রাচ্য বা প্রচলিত ভারতীয় শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন, তাদের প্রাচ্যবাদী’ বলা হয়।

পাশ্চাত্যবাদী : আলেকজান্ডার ডাফ, স্যান্ডার্স প্রমুখ যাঁরা পাশ্চাত্য বা ইউরোপীয় ও ইংরেজি শিক্ষাখাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন, তাদের পাশ্চাত্যবাদী বলা হয়।

15.   হাজী মোহাম্মদ মহসীন বিখ্যাত কেন?

হাজি মুহম্মদ মহসিন : হাজি মহম্মদ মহসিন ছিলেন বাংলার একজন ধর্মপ্রাণ ও মহান জনহিতৈষী ব্যক্তি। মহম্মদ মহসিন তার বিশাল সম্পত্তি বিভিন্ন সৎ ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেন। তার অর্থে অনেক স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার মৃত্যুর পর সরকার মহসিন ফান্ড তৈরি করে তার সঞ্জিত অর্থ নানা জনহিতকর কার্যে ব্যয় করে চলেছে।

16.  লালন ফকির বিখ্যাত কেন?

লালন ফকির ছিলেন বাউল সাধনার একজন। প্রধান গুরু। তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাউলগান রচয়িতা ও গায়ক। প্রায় ২ হাজার গান রচনা করেন তিনি। তার মর্মস্পর্শী গানগুলি মানবজীবনের রহস্য, আদর্শ ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করে।

17.  মেকলে মিনিট কি ?

থমাস ব্যাবিংটন মেকলে ছিলেন গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের আইনসচিব ও জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটির সভাপতি। মেকলে ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থক। তিনি 1835 খ্রিস্টাব্দের 2 রা ফেব্রুয়ারি গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের কাছে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের পক্ষে যে মিনিট বা প্রস্তাব পেশ করেন, তাকে মেকলে মিনিট’বা মেকলে প্রস্তাব’বলা হয়। মেকলের প্রস্তাব দ্বারা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব’-এর অবসান ঘটে।

18.   হুতোম প্যাঁচার নকশা থেকে কি ধরনের সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?

উনিশ শতকে কলকাতায় ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত এক বিশেষ সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে। এঁরা তথাকথিত বাবু সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত।  হুতোঁম পাচার নকশা’ গ্রন্থে লেখক কালীপ্রসন্ন সিংহ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের ' মাধ্যমে তাদের স্বরূপ উদঘাটনে প্রয়াসী হয়েছেন।

পরিচয় : এই বাবু’ সম্প্রদায় হঠাৎ ফুলে ফেঁপে ওঠা ধনী সম্প্রদায়। এঁরা নিজ সংস্কৃতি ভুলে পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধঅনুকরণে ব্যস্ত। কমবেশি জালজোচ্চুরি বা ফন্দিফিকির করেই এদের অর্থ উপার্জন হত। বাইজি নাচ, পায়রা ও বুলবুলি পোষা, বিড়ালের বিবাহদান ইত্যাদিতে বাবু সম্প্রদায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করতেন। লেখক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের কষাঘাতে বাবুদের নিখুঁত চিত্র তুলে ধরেছেন। তাদের সঠিকপথে আনতে প্রয়াসী হয়েছেন।

19.  নীলদর্পণ নাটক থেকে কি ধরনের সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?

‘নীলদর্পণ' নাটকে তৎকালীন বঙ্গসমাজে নীলচাষিদের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে— নীলকর সাহেবরা বাংলার দরিদ্র চাষিদের নীলচাষে বাধ্য করে। নীলচাষ করে চাষিদের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দেয়৷ ওঁ নীলচাষ না করলে নীলকর সাহেবরা চাষিদের ওপর সীমাহীন অত্যাচার চালায়।

20.   গ্রামবার্তা প্রকাশিকা থেকে কি ধরনের সমাজ চিত্র পাওয়া যায়?

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' (1863খ্রি.) ছিল সমকালীন বাংলার সমাজজীবনের এক বিশ্বস্ত দর্পণ। এতে- (i) দরিদ্র গ্রামবাসীদের ওপর জমিদার, জোতদার, মহাজন ও কুঠিয়ালদের চরম নির্যাতনের করুণ - কাহিনি ফুটে উঠেছে। (ii) নীলকরদের চরম নির্যাতন কীভাবে দরিদ্র নীলচাষিদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল তারও বর্ণনা এখানে ফুটে উঠেছে। (iii) এখানেই নারীশিক্ষা প্রসারের সংবাদ ইত্যাদি নিয়মিত প্রকাশিত হত।

21.  বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী স্মরণীয় কেন?

বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ছিলেন ব্রাহ্বসমাজের অন্যতম আচার্য। তিনি নব্য বৈষ্ণববাদের প্রচারকও ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রথমে ব্রাত্মধর্মের আদর্শ প্রচার ও ব্রামন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে তিনি বিষ্ণবধর্মে আকৃষ্ট হয়ে বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেন। তিনি কুসংস্কারমুক্ত প্রগতিশীল সমাজ গঠনে সচেষ্ট ছিলেন।

22.  ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হয়েছিল কেন?

ব্রাহ্ম সমাজের দ্বিতীয় বিভাজনঃ কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে কিছুদিন পর থেকেই ভারতবর্ষীয় ব্র্হ্ম সমাজের সদস্যদের মতভেদ সৃষ্টি হয়।

কারণ : i) কেশবচন্দ্র সেন যুক্তিবাদ থেকে সরে গিয়ে ব্রাহ্রসমাজে গুরুবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন, যা ছিল ব্রাহ্মধর্মের নীতিবিরুদ্ধ। ii) ব্রাহ্ম সমাজের বিধান উপেক্ষা করে কেশবচন্দ্র সেন তাঁর 14 বছর বয়সি কন্যা সুনীতিদেবীর সঙ্গে কোচবিহারের নাবালক রাজপুত্র নৃপেন্দ্র নারায়ণের বিবাহ দেন।

বিভাজন: এর ফলশ্রুতিতে শিবনাথ শাস্ত্রীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল ব্রাহ্মরা বিচ্ছিন্ন হয়ে 1878 খ্রিস্টাব্দে সাধারণ ব্রাহ্বসমাজ’ স্থাপন করেন। কেশবচন্দ্র সেনের গোষ্ঠীর ব্রাহ্মদের নাম হয় নববিধান ব্রাহ্রসমাজ।

23.  আত্মীয় সভা কেন প্রতিষ্ঠিত করা হয়? এই প্রতিষ্ঠানে তিনজন সদস্যের নাম লিখ?

রাজা রামমোহন রায় 1815 সালে আত্মীয় সভা প্ৰতিষ্ঠা করেন। নিজের ধর্মমত এবং নানা সামাজিক ও ধর্মীয় সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে তিনি এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মূলত হিন্দু ধর্ম ও সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার দূর করা এবং একেশ্বরবাদী ধর্মমত সম্পর্কে জনমত গড়ে তোলা ছিল এর উদ্দেশ্য।

এই সভার আদি সদস্য ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, নন্দকিশোর বসু প্রমুখ।


           #    প্রশ্নমান : 4   #


১.এদেশে চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কীরূপ  ভূমিকা ছিল?

ভূমিকা : ভারতে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যা বা আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের রাজত্বকালে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে এই কলেজটির প্রতিষ্ঠা হলে এক নবযুগের সূচনা হয়।

প্রেক্ষাপট : ইতিপূর্বে স্থাপিত হওয়া স্কুল ফর নেটিভ ডক্টরস’ (১৮২২ খ্রিস্টাব্দ), সংস্কৃত কলেজ অব আয়ুর্বেদ (১৮২৬ খ্রিস্টাব্দ) ও কলকাতা মাদ্রাসা ইউনানি’র শিক্ষাগত মান যাচাই করার জন্য বেন্টিঙ্ক একটি কমিশন গঠন করেন। মি জে গ্র্যান্ট-এর নেতৃত্বে (১৮৩৩ খ্রিঃ) গঠিত হওয়া এই কমিশন ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২০ অক্টোবর একটি রিপোর্ট পেশ করেন। এতে সংস্কৃত, আরবি-ফারসি ভাষার পরিবর্তে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার সুপারিশ করা হয়।এই সুপারিশের ভিত্তিতে বেন্টিঙ্ক ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি গড়ে তোলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।

উদ্দেশ্য : জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয় যুবকদের আধুনিক পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যায় দক্ষ করে তোলা, দেশের বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে দক্ষ ডাক্তার ও নার্সের জোগান দেওয়াই ছিল এই কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য।

শিক্ষকমণ্ডলী : মতিলাল শীল-এর দান করা জমিতে গড়ে ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ডাঃ এম জে ব্রামলি ছিলেন এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ। ডাঃ মধুসূদন গুপ্ত, ডাঃ এইট গুডইভ ছিলেন এই কলেজের শিক্ষক।

পঠন-পাঠন : ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি ৪৯ জন ছাত্রকে নিয়ে এর পঠন-পাঠন শুরু হয়। ভেষজ, অঙ্গ ব্যবচ্ছেদবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, ঔষধের গুণাগুণ ও প্রয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৪৫ খ্রি: ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অব সার্জেন-এর পাঠক্রম এখানে অনুসৃত হয়।

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে এই মেডিকেল কলেজ তার অনুমোদন লাভ করে। এই কলেজের মেধাবী ছাত্রদের ইংল্যান্ডে প্রেরণ করে প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা হয়।

শব ব্যবচ্ছেদ : পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ হল শব ব্যবচ্ছেদ। ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর মধুসূদন গুপ্ত শব ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়ে এক যুগান্তকারি নজির সৃষ্টি করেন। তাঁকে সাহায্য করেন উমাচরণ শেঠ, রাজকৃয় দে, দ্বারকানাথ গুপ্ত ও নবীনচন্দ্র দে প্রমুখ।

উপসংহার : ভারতে চিকিৎসাশিক্ষার ইতিহাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অবদান অপরিসীম। এটি ছিল এশিয়া মহাদেশের ও দ্বিতীয় কলেজ। ধনী ও শিক্ষানুরাগী রামকমল সেন, দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখের আর্থিক সহায়তায় হাসপাতাল ও কলেজের নতুন গৃহ নির্মিত হয়।এর চিকিৎসা পরিসেবা ও চিকিৎসা-গবেষণা ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে।

২. 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস :: প্রথম অধ্যায়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ( পঞ্চম অধ্যায়)

দশম শ্রেণীর ইতিহাস ( তৃতীয় অধ্যায়)