পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৈদিক সভ্যতার ইতিহাস

ছবি
  বৈদিক সভ্যতা [Vedic Civilisation]:: ► আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংস ও আর্য সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু উভয় সভ্যতার মধ্যে সম্পর্ক, কোনটি আগে, কোনটি পরে বা আর্যরাই সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা কিনা, আর্যদের আদি বাসস্থান ভারতে, না তারা বহিরাগত— এইসব প্রশ্ন নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার অন্ত নেই। এসব প্রশ্নের সর্বজনগ্রাহ্য কোনো উত্তর হয় না । বেদ ছিল আর্য মনীষার প্রধান ফসল এবং বেদ থেকেই আমরা আর্যসভ্যতার পরিচয় পাই। তাই এই সভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতা বলা হয় । ঋক্‌বেদের সময় থেকেই ভারতে ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। ঋক্‌বেদ কবে রচিত হয়েছিল, তা সঠিকভাবে জানা যায় না । ম্যাক্সমুলারের মতে, এর রচনা কাল খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দের মধ্যে। বালগঙ্গাধর তিলকের মতে, খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ অব্দ । দ্বিতীয় মতটি কেউই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না। যাই হোক, সাধারণভাবে খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দের মধ্যে ঋক্‌বেদ রচিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। এই যুগকে তাই ঋক্‌বৈদিক যুগ বলা হয়। ঋক্‌বৈদিক যুগের পরবর্তী যুগকে পরবর্তী-বৈদিক যুগ বলা হয়। আর্যদের বসতি বিস্তার : আ

সিন্ধু সভ্যতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ছবি
সিন্ধু সভ্যতার ইতিহাস >>স্যার জন মার্শালের ভারতীয় সহকারী রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের লারকানা জেলার মহেঞ্জোদাড়ো এলাকায় বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতাটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তার কিছুদিন আগেই মহেঞ্জোদাড়োর কয়েকশো মাইল উত্তরে অধুনা পাকিস্তানেরই পাঞ্জাব প্রদেশের মন্টগোমারি জেলার হরপ্পায় একটি প্রাচীন শহরের চার-পাঁচটি স্তরবিশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর অধুনা ভারতের রাজস্থানের কালিবঙ্গান, চণ্ডীগড়ের কাছে রুপার, গুজরাতের আমেদাবাদের কাছে লোথাল, গুজরাতেরই কচ্ছ জেলার ধোলাবীরা, হরিয়ানার হিসার জেলার বনোয়ালিতে এবং অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের কোট দিজি ও চানহুদাড়ো এবং পাকিস্তান-ইরান সীমান্তের কাছে বালুচিস্তান প্রদেশের সুতকাজেন-ডোরেও অনুরূপ শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়। ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিকরা মনে করেন, এই সব শহর একটি স্বতন্ত্র সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। এই সভ্যতাই সিন্ধু সভ্যতা, মেসোপটেমিয়ান সাহিত্যে সম্ভবত যার নাম মেলুহা। ঐতিহাসিকেরা একে সিন্ধু-ঘগ্গর-হাকরা সভ্যতা বা সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতাও বলে থাকেন। এই সভ্যতা ছিল তাম্র-ব্রোঞ্জ (ক্যালকোলি

মেহেরগড় সভ্যতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও

ছবি
  মেহেরগড় সভ্যতা  [Mehrgarh Civilisation]  হরপ্পা সভ্যতার আগে নব্যপ্রস্তর যুগের যে সব কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে মেহেরগড় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । হরপ্পা সভ্যতার কিছু কিছু লক্ষণ এই সভ্যতার মধ্যে পরিলক্ষিত হয় বলে অনেকে এই সভ্যতাকে আদি সিন্ধু সভ্যতা বলে অভিহিত করেছেন । অবস্থান:: [Location of Mehrgarh Civilisation] :   বালুচিস্তানের কাচ্চি সমতলভূমিতে বোলান নদীর পাড়ে কোয়েটা শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মেহেরগড়ের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে । জ্যাঁ ফ্রাসোয়া জারিজ -এর নেতৃত্বে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই মেহেরগড় সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন । এই সভ্যতার প্রধান কেন্দ্রগুলি হল কিলে গুল মহম্মদ, কোট ডিজি, গুমলা, মুন্ডিগাক, রানা ঘুনডাই, আনজিরা এবং মেহেরগড়। সময়কাল:: প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে আনুমানিক ৭০০০ খ্রিস্টপূবাব্দে এই সভ্যতা গড়ে উঠেছিল । এই সভ্যতা বহু বছর স্থায়ী হয়েছিল বলে মনে করা হয় । সভ্যতার বৈশিষ্ট্য:: [Characteristics of  Mehrgarh Civilisation] : মেহেরগড়ের খনন কার্যের ফলে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে চাষবাসের কিছু প্রমাণ মিলেছে এবং বহু দূর দেশের সঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্যের সম্পর্কের প্রম

প্রস্তর যুগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও

ছবি
  প্রস্তর যুগ [Stone Age]:- ভারতে প্রথম কবে মানুষ বসবাস শুরু করে, সঠিকভাবে তা বলা যায় না । মধ্যপ্রদেশের হোসংগাবাদ শহরের নিকটবর্তী হাথনোরা গ্রামের কাছে ভারতের প্রাচীনতম মানুষের নিদর্শনটি পাওয়া গেছে । এর সময় সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। অনুমান করা হয়েছে এর বয়স বড়োজোর ৫ লক্ষ বছর হবে । প্রাক্‌ঐতিহাসিক যুগের কোনো লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় না । কারণ তখন মানুষ লিখতে পড়তে জানত না । একমাত্র তাদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রশস্ত্র থেকে তাদের কথা জানতে পারা যায় । তখন মানুষ পাথরের সাহায্যে যন্ত্রপাতি তৈরি করত বলে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই যুগকে ‘প্রস্তর যুগ’ [Stone Age] বলে অভিহিত করেছেন । প্রস্তর যুগকে আবার তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে ,যথা- (১) প্রাচীন প্রস্তর যুগ [Palaeolithic Age বা  Old Stone Age],  (২) মধ্যপ্রস্তর যুগ [Mesolithic Age বা Middle Stone Age], ও  (৩) নব্য প্রস্তর যুগ [Neolithic Age বা New Stone Age] । ১)প্রাচীন প্রস্তর যুগ [Palaeolithic Age or Old Stone Age] ::   পুরাপ্রস্তর যুগের বিবর্তন দীর্ঘকাল জুড়ে চলেছিল । আনুমানিক ১০,০০০ বছর আগে, অর্থাৎ, ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পুরাপ্রস্তর যুগ শেষ

ভারতে প্রস্তর যুগ কখন শুরু হয়?

ছবি
  মধ্যভারতের নর্মদা উপত্যকার হাথনোরায় প্রাপ্ত হোমো ইরেকটাস-এর প্রক্ষিপ্ত অবশেষগুলি ২০০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ বছর পূর্ববর্তী মধ্য প্লেইস্টোসিন যুগে ভারতে মানববসতি উন্মেষের সম্ভাবনার দিকটি নির্দেশ করে।সম্ভবত ভারত মহাসাগরের উপকূলভাগে বহিঃআফ্রিকা থেকে অনুপ্রবেশের যাবতীয় নিদর্শন অবলুপ্ত হয়ে গেছে উত্তর-তুষার যুগের বন্যার ফলে। তামিলনাড়ু অঞ্চলে সাম্প্রতিক কিছু আবিষ্কার থেকে এই অঞ্চলে প্রথম শারীরতাত্ত্বিকভাবে আধুনিক মানব প্রজাতির উপস্থিতির কথা জানা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে মেসোলিথিক যুগের সূচনা ৩০,০০০ বছর আগে। এই যুগ স্থায়ী হয় ২৫,০০০ বছর। আজ থেকে ১২,০০০ বছর আগে সর্বশেষ তুষার যুগের অন্তিমপর্বে উপমহাদেশে নিবিড় জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। প্রথম স্থায়ী জনবসতির প্রমাণ মেলে আধুনিক ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ৯০০০ বছর প্রাচীন ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্রে। আধুনিক পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মেহেরগড়ে খননকার্য চালিয়ে ৭০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ও তৎপরবর্তীকালের দক্ষিণ এশীয় নিওলিথিক সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। ভারতের খাম্বাত উপসাগরে নিমজ্জিত নিওলিথিক সভ্যতার কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে; রেডিও কার্বন পদ্ধত

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানগুলো কি কি?

ছবি
প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের উপাদান   [Sources of Ancient Indian History] প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের উপাদানগুলো কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়----- ১) সাহিত্যিক উপাদান [The Literary Elements] : সমকালীন ঐতিহাসিকদের রচনা ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক সাহিত্যকীর্তি হল মূলত ইতিহাসের সাহিত্যিক উপাদান । সাহিত্যিক উপাদানের নির্ভরযোগ্যতা সম্মন্ধে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়, কারণ এখানে ভূল তথ্য বা অনিচ্ছাকৃত তথ্য পরিবেশনের সুযোগ থাকে ।  ২) প্রত্নতাত্ত্বিক উপদান [Archaeological Evidence] : প্রাচীন লিপি, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য -এর নিদর্শন ও ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ প্রভৃতি হল ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান । প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি, কারণ এখানে ভূল তথ্য পরিবেশনের সুযোগ প্রায় নেই । ১) সাহিত্যিক উপাদান:: এটি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত :(i)  দেশীয় সাহিত্য [Indigenous Literature of ancient times] ও (ii) বৈদেশিক বিবরণ [Accounts of  foreign Travellers] i)  দেশীয় সাহিত্য:  একে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায় --- ক) ধর্মীয় গ্রন্থ [Sacred literature] :- প্রাচীন ভারতের অধিকাংশ গ্রন্থ ধর্মকে ভিত্তি করে লেখা । হি

প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ কেমন ছিল??

ছবি
   >> পৃথিবীর বুকে মানুষের উদ্ভব থেকে শুরু করে লেখা আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত যে সময়কাল, সেটিই হলো প্রাগৈতিহাসিক যুগ। পৃথিবীর বয়স ধরা হয়ে থাকে ৪.৫ বিলিয়নের মতো। তবে পৃথিবীর বুকে হোমো স্যাপিয়েন্সদের বিবর্তন শুরু হয়েছে আড়াই মিলিয়ন বছর আগে। আর যদি আধুনিক মানুষের উদ্ভব সম্পর্কে ধারণা করা হয়, তবে সেটিও ঘটেছে ২,০০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ বছর আগে। যদি আমরা তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে আধুনিক মানুষের উদ্ভব ঘটেছে ২,০০,০০০ বছর আগে, তার মানে এই সময়কালে পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে আপনার অন্তত ৬,০০০ প্রজন্মের পূর্ব-পুরুষদের। এছাড়া এটি যিশুখ্রিস্ট ও রোমান সাম্রাজ্যের সময়কালেরও ১০০ গুণ, কিংবা সর্বপ্রাচীন লিখিত ইতিহাসের চেয়েও ৪০ গুণ অতীত। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মিশর থেকে আবিষ্কার করেছেন এমন কিছু লিখিত দলিল, যেগুলো খ্রিস্টপূর্ব ৩,২০০ অব্দের সময়কার। এর চেয়ে প্রাচীন লিখিত দলিল আর কোথাও পাওয়া যায়নি। তাই আমরা ধরে নিতে পারি, ইতিহাসের সূচনা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৩,২০০ অব্দেই। এর আগ পর্যন্ত, অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে আধুনিক মানুষের আগমন থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩,২০০ অব্দ পর্যন্ত পুরো সময়টাই প্রাগৈতিহাসিক যুগ। এভাবেও বলা যায়, পৃথিবীতে মানবসভ্য

ভারতের ইতিহাসের যুগ বিভাজন

ছবি
ভারতের ইতিহাসে যুগবিভাগ একটি জটিল ও বিতর্কিত বিষয়। প্রাচীন ঐতিহ্য পুরানে চক্রাকার কালচেতনা বিদ্যমান। কিন্তু ইউরোপীয় ধারণায় সময় হল রৈখিক। আধুনিক ইতিহাসচর্চায় অবশ্য এই রৈখিক কালচেতনাকেই গ্রহণ করা হয় এবং সেই ভাবেই ইতিহাসের যুগ বিভাজন করা হয়। পুরাণ : পুরাণ অনুসারে ঐতিহ্য 'কাল'কে চারটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে- সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি। সত্যযুগ সবচেয়ে উৎকৃষ্ট যুগ এবং কলিযুগ সবচেয়ে ঘৃণ্যতর। প্রতিটি পরবর্তী যুগ তার পূর্ববর্তী যুগের তুলনায় অবক্ষয়িত। সামাজিক অক্ষয়ের চূড়ান্ত পর্ব কলিযুগে বিষ্ণুর কল্কি অবতারে আগমন ঘটবে এবং কলিযুগের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে আবার সত্য যুগের সূচনা হবে।  অন্যদিকে ইউরোপে 14 শতকীয় রেনেসাঁ প্রসূত ধারণা পুরাণের ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। পেত্রার্ক তার রচনাবলীতে নবজাগরণ এর আগের সময়কালকে 'অন্ধকার যুগ' হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন এবং বর্বরদের আক্রমণের পূর্বের সময়কে ধ্রুপদী যুগ হিসাবে চিহ্নিত করে সেখান থেকেই শুরু করার কথা বলেছেন। এভাবে সভ্যতার গতিপথের একটি পর্বকে বাড রাখার ধারণা পরবর্তীকালে বাতিল হয়েছে। যাইহোক পেট্রার্ক রৈখিক কাল চেতনা এবং ত্রিপদী যুগ

ইতিহাসের উপাদান কী?

ছবি
  যেসব তথ্য-প্রমাণের  ভিত্তিতে ঐতিহাসিক কোন  সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব, তাকে ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। ইতিহাসের উপাদান দুই প্রকার-- ১) লিখিত উপাদান এবং ২) অলিখিত উপাদান লিখিত উপাদান:: ইতিহাসের যেসব উপাদান লিখিত উৎস থেকে পাওয়া যায় তাকে লিখিত উপাদান বলে। ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকর্মেও তৎকালীন সময়ের কিছু তথ্য পাওয়া যায়। যেমন—বেদ, কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’, কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’, মিনহাজ-উস-সিরাজের ‘তবকাত-ই-নাসিরী’, আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’ ইত্যাদি। অলিখিত উপাদান:: ইতিহাসের যেসব উপাদানের কোনো লিখিত উৎস নেই কিন্তু প্রামাণ্য বস্তু আছে, তাকে অলিখিত উপাদান বলে। যেমন—মুদ্রা, শিলালিপি স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি, ইমারত ইত্যাদি। এসব নিদর্শনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের ফলে সে সময়ের অধিবাসীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।